বাংলাদেশ-কুয়েতের সম্পর্ক জোরদারে শ্রমবাজারে নতুন চুক্তি

বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রম সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারে শিগগিরই একাধিক নতুন চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সফররত কুয়েতের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত সামি ঈসা জোহর হায়াত। রোববার (১৯ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। কুয়েতি সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে দুদেশের

কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রকের মধ্যে আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হলো, যা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়, সামরিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান—এসব খাতে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির বিষয়ে সম্মতি হয়েছে। তিনি জানান, সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানসহ দেশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টার হাতে কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ আলির একটি চিঠি তুলে দেন, যেখানে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কুয়েতি প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, ১৯৯০ সালে কুয়েতে দখলদারিত্বের সময় বাংলাদেশের নিঃস্বার্থ সহায়তার জন্য তাদের দেশ আজও কৃতজ্ঞ। সেই সময় থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি সেনা সেখানে মানবিক সহায়তা ও মাইন অপসারণে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বেসামরিক বিমান চলাচল ও ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। বর্তমানে কুয়েত এয়ারওয়েজ সপ্তাহে সাতটি, আল জাজিরা এয়ারওয়েজ ১৪টি এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। নতুন রুট চালু ও ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে দুই দেশ নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। কুয়েতের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, শ্রম সহযোগিতা নবায়নে নতুন চুক্তির প্রস্তুতি চলছে, যা আগামী উচ্চপর্যায়ের সফরকালে স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একইদিনে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় প্রথমবারের মতো ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বহুমাত্রিক সহযোগিতা বাড়াতে বেশ কিছু ইস্যুতে ঐকমত্য গড়ে ওঠে।