জাপানে ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, কৃষিতে সংকটের আশঙ্কা

জাপানে নজিরবিহীন গরম পড়েছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় গানমা প্রদেশের ইসেসাকি শহরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা জাপানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে পশ্চিমাঞ্চলীয় হিয়োগো প্রদেশের তাম্বা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চরম এই তাপদাহে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ফসল উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন কৃষকরা।

বিশেষ করে ধানের উৎপাদনে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অবস্থায় সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। জাপানের ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির তথ্যমতে, চলতি গ্রীষ্মে ইতোমধ্যে ৫৩ হাজারেরও বেশি মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জনগণকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া, টানা তৃতীয় বছরের মতো জুলাই মাসে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমে গেছে। এতে আরও বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। ধান উৎপাদনকারী কিছু অঞ্চলে দুর্গন্ধযুক্ত পোকার আক্রমণও দেখা দিয়েছে। চরম এই আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে জাপান সরকার ধান উৎপাদন বাড়াতে ও পোকামাকড় দমনে নতুন নীতি গ্রহণ করেছে। কৃষিমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, খরা মোকাবিলা ও কীটনাশক সহায়তা নিশ্চিত করা হবে। ২০২৩ সালের অতিরিক্ত গরমে ধানের মান নষ্ট হয়েছিল, ফলে দেশে ধান ঘাটতি দেখা দেয়। সরকারের চাহিদা ও সরবরাহ পূর্বাভাসে ভুলের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়, এবং চালের দাম ঐতিহাসিকভাবে বেড়ে যায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই অভিজ্ঞতা যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তাই সরকার আগেভাগেই ব্যবস্থা নিচ্ছে।