মিসরের ইতিহাসে এক অভাবনীয় ঘটনাই ঘটেছিল যখন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে নবী ইউসুফ (আ.) দেশটির অর্থ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত হন। ফেরাউনের স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি শুধু নিজের প্রজ্ঞা নয়, প্রমাণ করেছিলেন আল্লাহপ্রদত্ত এক অলৌকিক জ্ঞান ও দূরদর্শিতা। বর্ণনা অনুযায়ী, ফেরাউন এক রাতে এক রহস্যময় স্বপ্ন দেখেন— সাতটি মোটা গাভীকে
সাতটি রোগা গাভী খেয়ে ফেলছে, আর সাতটি সবুজ শস্যগুচ্ছের পর শুকনো শস্য দেখা দিচ্ছে। রাজ্যের কোনো জ্যোতিষী, পুরোহিত বা উপদেষ্টা এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। ঠিক তখনই কারাগারে থাকা এক ব্যক্তি ফেরাউনকে নবী ইউসুফ (আ.)-এর কথা জানান, যিনি পূর্বে তার স্বপ্নের ব্যাখ্যা সঠিকভাবে দিয়েছিলেন। ফেরাউন ইউসুফ (আ.)-কে ডেকে পাঠালে তিনি ব্যাখ্যা দেন— মিসরে সাত বছর হবে প্রাচুর্যের, এরপর আসবে সাত বছর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের। তিনি পরামর্শ দেন, প্রাচুর্যের বছরে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করলে দুর্ভিক্ষের বছরগুলো সহজে পার করা সম্ভব হবে। ইউসুফ (আ.)-এর জ্ঞানে ও দূরদৃষ্টিতে মুগ্ধ হয়ে ফেরাউন ঘোষণা দেন,<br> “তুমি আজ থেকে আমাদের রাষ্ট্রের ভাণ্ডার ও অর্থনীতির প্রধান দায়িত্বে থাকবে।” এইভাবেই এক সময়ের কারাবন্দি ইউসুফ (আ.) মিসরের অর্থমন্ত্রী বা ‘আজিজ-ই-মিসর’ পদে আসীন হন। তার প্রশাসনিক দক্ষতা ও ঈমানদার পরিচালনায় মিসর শুধু দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতা এড়াতে সক্ষম হয় না, বরং আশপাশের দেশগুলোকেও খাদ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হয়। ইতিহাসবিদরা বলেন, নবী ইউসুফ (আ.)-এর এই দায়িত্ব গ্রহণ ছিল মানবসভ্যতার প্রাচীন অর্থনীতি ব্যবস্থাপনার এক বাস্তব উদাহরণ। তার প্রজ্ঞা, ন্যায়পরায়ণতা ও সুশাসনের দৃষ্টান্ত আজও রাষ্ট্র পরিচালনার পাঠ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইউসুফ (আ.)-এর উত্থান কেবল এক রাজনীতিক ঘটনার নয়; এটি ঈমান, ধৈর্য ও ন্যায়ের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক। তিনি প্রমাণ করেছেন— সত্য, জ্ঞান ও আল্লাহর ওপর বিশ্বাস একজন মানুষকে কারাগার থেকে রাজপ্রাসাদ পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সরকারি সফরে কাতার গেছেন। শনিবার (৩ মে) সকালে তিনি কাতারে গেছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কাতারের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার লক্ষ্যেবিস্তারিত...
টোকিও, ২ জুন: টোকিও মেট্রোর কিছু স্টেশনে রাতে যাত্রী চলাচল কমে আসার পেছনে নতুন করে উঠে এসেছে একটি পুরোনো শহুরে কিংবদন্তির নাম—"কুচিসাকে ওন্না", বাংলায় পরিচিত ‘চেরা-মুখো নারী’ নামে। শহরের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি স্টেশনে সম্প্রতি এক নারীকে মুখে মাস্ক পরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতেবিস্তারিত...
জাপানের বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের কৃত্রিম রক্ত উদ্ভাবন করেছেন যা যেকোনো রক্তের গ্রুপের রোগীর দেহে নিরাপদে ব্যবহার করা যাবে। এই "ইউনিভার্সাল ব্লাড" উদ্ভাবনকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন। নারা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়–এর অধ্যাপক হিরোমি সাকাই-এর নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণায় তৈরিবিস্তারিত...
জাপানের প্রত্যন্ত হোক্কাইডো অঞ্চলে অবস্থিত একটি ছোট রেলস্টেশন, ‘কিউ-শিরাতাকি স্টেশন’ (Kyu-Shirataki Station), কেবলমাত্র একজন স্কুলছাত্রীকে যাতায়াতের সুযোগ দিতে চালু রাখা হয়েছিল। ওই ছাত্রী গ্র্যাজুয়েশন করার পরই স্টেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ঘটনা ২০১৬ সালে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্মবিস্তারিত...