জাপানের বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের কৃত্রিম রক্ত উদ্ভাবন করেছেন যা যেকোনো রক্তের গ্রুপের রোগীর দেহে নিরাপদে ব্যবহার করা যাবে। এই "ইউনিভার্সাল ব্লাড" উদ্ভাবনকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন। নারা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়–এর অধ্যাপক হিরোমি সাকাই-এর নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণায় তৈরি এই কৃত্রিম রক্তে রেড ব্লাড সেলের পরিবর্তে হিমোগ্লোবিন ভেসিকেল ব্যবহার
করা হয়েছে, যা অক্সিজেন পরিবহন এবং রক্ত জমাট বাঁধার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করতে সক্ষম। * মূল বৈশিষ্ট্য: সব ধরনের রক্তগ্রুপের জন্য উপযোগী: কোনো রক্তের গ্রুপের প্রয়োজন নেই। দীর্ঘস্থায়ী সংরক্ষণযোগ্যতা: রুম তাপমাত্রায় ২ বছর এবং রেফ্রিজারেটরে ৫ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। ঝুঁকিমুক্ত ব্যবহার: সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর এবং নিরাপদ। * গবেষণা ও ট্রায়াল: ২০২২ সালে প্রাথমিক মানবদেহে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয় এবং ২০২৫ সালের মার্চ থেকে এটি বড় পরিসরে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সীমিত এবং সহনীয় ছিল বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। * গবেষকদের ভাষ্যমতে: "এই কৃত্রিম রক্ত মানুষের জীবন বাঁচাতে ব্যবহৃত হতে পারে, বিশেষ করে দুর্ঘটনা, যুদ্ধক্ষেত্র ও জরুরি পরিস্থিতিতে যেখানে রক্তগ্রুপ মিলানো সময়সাপেক্ষ ও ঝুঁকিপূর্ণ।" — ড. হিরোমি সাকাই, প্রধান গবেষক *বিশ্বজুড়ে চাহিদা: বিশ্বজুড়ে রক্তের ঘাটতির পরিস্থিতিতে এই কৃত্রিম রক্ত ভবিষ্যতের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে। বর্তমানে এই রক্ত মেডিকেল পরীক্ষার পর্যায়ে থাকলেও, গবেষকরা আশাবাদী যে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারযোগ্য হবে। * বিশেষজ্ঞ মতামত: চিকিৎসা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি যদি অনুমোদন পায়, তবে তা বিশ্বব্যাপী রক্তদান প্রক্রিয়া এবং জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিপ্লব এনে দেবে।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সরকারি সফরে কাতার গেছেন। শনিবার (৩ মে) সকালে তিনি কাতারে গেছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কাতারের সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার লক্ষ্যেবিস্তারিত...
টোকিও, ২ জুন: টোকিও মেট্রোর কিছু স্টেশনে রাতে যাত্রী চলাচল কমে আসার পেছনে নতুন করে উঠে এসেছে একটি পুরোনো শহুরে কিংবদন্তির নাম—"কুচিসাকে ওন্না", বাংলায় পরিচিত ‘চেরা-মুখো নারী’ নামে। শহরের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি স্টেশনে সম্প্রতি এক নারীকে মুখে মাস্ক পরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতেবিস্তারিত...
নিউক্যাসল, ১৯৬৮ - ইংল্যান্ডের নিউক্যাসলের স্কটসউড এলাকায় ঘটে যাওয়া দুটি শিশুহত্যা কাণ্ড গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেয়। আর এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল মাত্র ১১ বছর বয়সী এক কিশোরী – মেরি বেল। প্রথম হত্যাটি সংঘটিত হয় ১৯৬৮ সালের মে মাসে, যেখানে চার বছরবিস্তারিত...