জাপান আবারও প্রমাণ করল তারা উদ্ভাবনের পথিকৃত। এবার দেশটি নিয়ে এসেছে এক অভিনব পরিবেশবান্ধব পণ্য — বিস্কুট দিয়ে তৈরি খাওয়ারযোগ্য চা কাপ। এই কাপগুলো সম্পূর্ণরূপে এক ধরনের বিশেষ বিস্কুট দিয়ে তৈরি, যা গরম চা বা কফি রাখার মতো যথেষ্ট শক্ত এবং তাপ সহনশীল। পানীয় শেষ হওয়ার পর কাপটি খেয়ে ফেলা যায়,
ফলে কোনো বর্জ্যই সৃষ্টি হয় না। এটি যেমন পরিবেশবান্ধব, তেমনই একটি মজার খাদ্য অভিজ্ঞতাও। টোকিওর কিছু ক্যাফে ও চা ঘরে ইতিমধ্যেই এই বিস্কুট কাপ ব্যবহার শুরু হয়েছে। ক্রেতারা দারুণ সাড়া দিচ্ছেন। একজন গ্রাহক বলেন, “প্রথমে চা পান, তারপর মিষ্টি বিস্কুট — দুই একসঙ্গে উপভোগ করতে পারছি।” এই কাপগুলো প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত গরম পানীয় ধারণ করতে সক্ষম। কাপের বিভিন্ন স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে — যেমন ম্যাচা (সবুজ চা), তিল ও চকোলেট — যা পানীয়ের সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়। এই পণ্যের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানায়, তাদের অনুপ্রেরণা এসেছে জাপানের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন ওয়াগাশি এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ‘জিরো ওয়েস্ট’ আন্দোলন থেকে। সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিরোশি নাকায়ামা বলেন, “আমরা এমন কিছু তৈরি করতে চেয়েছি যা জাপানি আতিথেয়তার প্রতিফলন ঘটায় এবং একবার ব্যবহারযোগ্য কাপের দূষণ সমস্যারও সমাধান করে।” উল্লেখযোগ্যভাবে, জাপানে প্রতিবছর প্রায় ২০ বিলিয়ন ডিসপোজেবল কাপ ব্যবহৃত হয়, যার অধিকাংশই পরিবেশে ক্ষতিকর বর্জ্য তৈরি করে। বিস্কুট কাপ এই প্রবণতাকে বদলাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্যাফে চেইনও ইতিমধ্যে এই উদ্যোগে আগ্রহ দেখিয়েছে। সম্ভাব্যভাবে এশিয়া ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে বিস্কুট কাপ ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। এই উদ্ভাবনের মাধ্যমে জাপান আবারও দেখিয়ে দিল, পরিবেশ রক্ষার সঙ্গে সৃজনশীলতা মিলিয়ে কীভাবে এক নতুন ভোগ্যপণ্য উপহার দেওয়া যায় — যেখানে প্রতিটি চুমুকে রয়েছে দায়িত্বশীলতা আর প্রতিটি কামড়ে আনন্দ।
‘বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ- ২০২৫’ এর শুরুতে ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভি সতর্ক করেছে যে, শিশুদের টিকা প্রদানের হার বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বড় অগ্রগতি অর্জন করলেও এখনও উল্লেখযোগ্য ব্যবধান রয়ে গেছে। এতে করে প্রায় পাঁচ লাখ শিশুরবিস্তারিত...