অটাকু কিলার: সত্যিকার হত্যাকারীর কাহিনি

জাপানের ১৯৮০ এর দশক, যখন দেশটি অর্থনৈতিক উন্নতির শীর্ষে ছিল, তখন সাইতামা প্রিফেকচারের এক ছোট শহরে এক দানবীয় ঘটনার জন্ম নেয়। ত্সুতোমু মিয়াজাকি, একজন যন্ত্রণা-ভোগী যুবক, একটি অন্ধকার জীবনযাপন করছিলেন। শৈশবে শারীরিক বিকৃতি এবং সমাজের বিদ্রুপের শিকার হয়ে, মিয়াজাকি আছন্ন ছিলেন এক অদ্ভুত এবং ভয়াবহ বিশ্বে। তবে তার এই অদ্ভুততা

ছড়িয়ে পড়েছিল ভয়ংকরভাবে। ১৯৮৮ সালের আগস্টে মিয়াজাকি প্রথমে একটি চার বছরের মেয়েকে অপহরণ করেন এবং তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। এরপর তিনি তার দেহকে বিকৃত করেন এবং সেই হত্যাকাণ্ডের ছবি তার পরিবারকে পাঠান। এই ঘটনাটি ছিল প্রথম। পরবর্তীতে, তিনি আরও তিনটি ছোট মেয়েকে হত্যা করেন, তাদের দেহের অংশ কেটে নিয়ে বিভিন্ন অশ্লীল কাজ করেন। হত্যার পর, তিনি সেই ভয়ঙ্কর কাজের ছবি ও অশ্লীল চিঠি পরিবারকে পাঠাতেন। পুলিশ মিয়াজাকির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল, তবে তাঁর বাড়ি যখন তল্লাশি করা হয়, তখন বেরিয়ে আসে তার ভয়াবহ সংগ্রহ। মিয়াজাকির কাছে ছিল হাজার হাজার ভিএইচএস টেপ, জঘন্য পর্নোগ্রাফিক ভিডিও এবং ভয়ের চলচ্চিত্র। সেই সময় তাকে "অটাকু কিলার" নামে চিহ্নিত করা হয়, কারণ তার শখের বিষয় ছিল অ্যানিমে, তবে এটি তার অপরাধের সাথে সম্পর্কিত নয়। ১৯৮৯ সালে, মিয়াজাকি ধরা পড়েন যখন তিনি আরেকটি মেয়েকে অপহরণ করতে গিয়ে ধরিয়ে পড়েন। পরে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়, এবং তাকে ১৯৯৭ সালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে তাকে কার্যকর করা হয়। এই ভয়াবহ ঘটনার পর, জাপানে "অটাকু" সংস্কৃতি নিয়ে একটি বিশাল শঙ্কা তৈরি হয়, যদিও মিয়াজাকি মনোভাবগতভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার এই কাহিনী আজও জাপানসহ সারা পৃথিবীতে ভীতির সৃষ্টি করে।